সিলেট শহর হতে জাফলং/তামাবিল সড়কে ৩৮ কি.মি. আসলেই সারিঘাট বাজার। সেখান থেকে ৭কি.মি. সড়কপথে গেলে লালখাল যাওয়া যায়।
ভূমিকা: লালাখাল’ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় একটি পর্যটন এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান। লালাখালের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সারি গোয়াইন নদী। সেই নদীতে অসংখ্য বাঁক রয়েছে।[ নদীটির কূলে পাহাড়ি বন, চা-বাগান এবং নানা প্রজাতির বৃক্ষরাজি রয়েছে।
বিবরণ: ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। লালাখালের পানি নীল। মুলতঃ জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে আসা প্রবাহমান পানির সাথে মিশে থাকা খনিজ এবং কাদার পরিবর্তে নদীর বালুময় তলদেশের কারনেই এই নদীর পানির রঙ এরকম দেখায়। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁকের দেখা মেলে।
ইতিহাস: এ নদী দিয়েই পর্যটক ইবনে বতুতা বাংলাদেশে এসেছিলেন।[৪] জায়গাটার নামের সঙ্গে ‘খাল’ শব্দ যুক্ত হলেও এটি মূলত একটা নদীরই অংশ। নদীর নাম সারি। কেননা, চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে বেয়ে আসা পানি গড়িয়ে চলেছে লালাখাল দিয়ে।[৫]লালাখালকে কেন লালাখাল বলা হয়, তা জানা যায়নি।
পবিবেশ বিপর্যয়: সরকারি বিধিনিষেদের তোয়াক্কা না করায় উদ্ভিদবৈচিত্র্যকে করে তুলেছে হুমকির সম্মুখিন। এছাড়া অনুমোদনহীনভাবে পাথর উত্তোলন নদী এবং নদী অববাহিকার ভূমিকে হুমকির সম্মুখিন করেছে।[৬] এলাকার প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিপুল পরিমাণ গাছ কেটে ফেলার কারণে প্রায়ই সেখানে নানা রোগব্যাধির প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়।[৭] তাছাড়া উজান থেকে নেমে আসা পাথর আর বালুতে সয়লাব হয়ে যাওয়ায় নদীর নাব্যতা কমে গেছে। ফলে হঠাৎই উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় নিকটবর্তি অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস